রাজনৈতিক সমাবেশ কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, আসকের নিন্দা

আসক

ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মোবাইল ফোন ঘেটে ছবি, মেসেজ ও কল তালিকা দেখার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে আসক জানায়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে উপলক্ষ করে পুলিশ যাত্রীদের মোবাইল ফোন ঘেটে ছবি, টেক্সট মেসেজ ও কল তালিকা দেখে বোঝার চেষ্টা করেছেন কোনোভাবে তারা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন কিনা। এছাড়াও নীলক্ষেত এলাকায় স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পথচারীদের যাকে সন্দেহ হয়েছে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দুই দফায় ১২ জন পথচারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে তারা, এমনকি কাউকে কাউকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। শুধু ছাত্রলীগ নয়, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের বিরুদ্ধে গাজীপুরসহ কয়েকটি জায়গায় এ ধরনের হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

আসক জানায়, গোপনীয়তা একজন ব্যক্তির সংবিধান স্বীকৃত অন্যতম মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩-এ এই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। মোবাইলে ফোনে মানুষের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, তথ্য বা ছবি থাকতে পারে যা ঘাটাঘাটি করা একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এছাড়াও একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার সাথে তার মর্যাদার সম্পর্ক জড়িত। কারো গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এমন কর্মকাণ্ড সংবিধান ও আইনসংগত নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

CEC urges officials to ensure neutrality as polls preparations advance

He reiterates that the commission is advancing steadily with election preparations

21m ago