বীর নিবাস: বরাদ্দ পেয়েও বিপাকে হবিগঞ্জের ৪ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

অসমাপ্ত ঘরের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছুরত আলী ও তার স্ত্রী। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

'অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছিলেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছুরত আলী। তার নিজস্ব ভিটায় আগের বসতঘরের জায়গাতেই শুরু হয় নতুন ঘর নির্মাণের কাজ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।

এ অবস্থায় গত ১১ মাস ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে থাকছেন ছুরত আলী। ৩ মাস ধরে নতুন ঘরের কাজ বন্ধ আছে। ঠিকাদারেরও খোঁজ নেই। তাই কবে নাগাদ এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলবে তাও জানেন না এই মুক্তিযোদ্ধা।

ছুরত আলীর মতো একই অবস্থা এই এলাকার আরও ৩ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের। তাদের ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কোনো ফল মেলেনি।

প্রায় ৪ হাজার ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে একতলা পাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের ভিটায় ২ বেড, ২ টয়লেট, ডাইনিং ও কিচেনসহ ৬৩৫ বর্গফুটের এই 'বীর নিবাস' তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ছুরত আলীসহ লাখাই উপজেলার ৪ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঘর পেয়েছেন। অন্য ৩ উপকারভোগীরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামছুল হক, মো. আব্দুর রশীদ প্রয়াত আব্দুল কাদিরের স্ত্রী ফাইজুন নাহার। এ জন্য বরাদ্দ এসেছে ১২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়।  

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছুরত আলী বলেন, '১১ মাস ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আছি। কাজ বন্ধ। ঠিকাদারের খোঁজ নেই। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তাও জানি না। অন্যের বাড়িতে দিনের পর দিন থাকতে আর ভালো লাগছে না।'

বিষয়টি নিয়ে অন্য উপকারভোগীদের বক্তব্যও একই রকম। তাদের ভাষ্য, ৬ মাস আগেই নতুন ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তা না হওয়ায় এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন তারা। 

জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নূর আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '(বীর নিবাস নির্মাণের) প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু বাজেট সমস্যার কারণে কাজ শেষ হতে খানিকটা দেরি হচ্ছে। এই সমস্যা না হলেও ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ আগেই কাজ শেষ হয়ে যেত।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus off to Japan on four-day official visit

The chief adviser left Hazrat Shahjalal International Airport for Tokyo at 2:10am

16m ago