দক্ষিণ সিটির প্রতি ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস

ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের সপ্তদশ বোর্ড সভায় 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ব্যায়ামাগারসমূহ পরিচালনা নীতিমালা-২০২২' অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, 'আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে এখন মাত্র ১৭টি শরীরচর্চা কেন্দ্র আছে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের সঙ্গে একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা নতুন একটি প্রকল্প নিচ্ছি। নতুন আরও ৩৬টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে মাত্র ৩৫টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র রয়েছে। আমরা সেটাকে বৃদ্ধি করে ৭৫টি ওয়ার্ডেই সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা সব জায়গায় শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো- প্রতিটি ওয়ার্ডেই জনগণের জন্য ব্যায়ামাগার সেবা নিশ্চিত করা।'

এসময় নীতিমালা প্রণয়নের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে মেয়র বলেন, 'আমাদের শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো বেশিরভাগই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। কোনোরকমভাবে কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় আমরা সেগুলো পরিচালনা করে চলেছি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপরিকল্পনার আলোকে আমাদের তরুণ এবং জনগণের কল্যাণে যেন সেগুলো ব্যবহৃত হয়, সেদিকটা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। এটা আমাদের মূলত কল্যাণমূলক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ। এখান থেকে আমরা খুব বেশি রাজস্ব আয় করতে চাই না। আমাদের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজ যেন বিপথে না গিয়ে সুস্থ শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করতে পারে, সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা রাখতে চাই। যাতে সেই এলাকার তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণির জনগোষ্ঠী যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে। সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে পরিচালন নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে।'

কমিটির সুপারিশের আলোকে এলাকা ভেদে ব্যায়ামাগারগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, 'যারা আবেদন করবেন তাদের সবার জন্য এলাকা ভেদে ভাড়া নির্ধারিত হবে। এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে কমিটির মাধ্যমে এই ভাড়া নির্ধারণ করতে চাই। ব্যবসায়িক এলাকায় হয়তো প্রতি বর্গফুট ১০০ টাকা হারে হতে পারে। কিন্তু অনেক এলাকায় ১০-২০ টাকাও হয়তো বেশি হয়ে যাবে। সেটা আমরা কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করব।'

তিনি আরও বলেন, 'বিদ্যমান আয়তন, সুবিধাদি ও যন্ত্রপাতি বিবেচনা করে ব্যায়ামাগারগুলোকে ক, খ ও গ ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেজন্য করপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও ভিন্নতা থাকবে। যেসব ব্যায়ামাগারে সিটি করপোরেশনের যন্ত্রপাতি থাকবে, সেসব ব্যায়ামাগারের বাৎসরিক আয়ের ১৫ শতাংশ এবং যেসব ব্যায়ামাগারে করপোরেশনের যন্ত্রপাতি নেই, তা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ১০ শতাংশ সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে একাধিক ইজারাদার পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ইজারাদারকে ইজারা প্রদান করা হবে। তবে যারা ব্যায়ামাগার পরিচালনা করবেন, তাদের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।'

বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এবং প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

A floating mosaic of guavas, baskets and people

During the monsoon, Jhalakathi transforms into a floating paradise. Bhimruli guava market comes alive with boats carrying farmers, buyers, and tourists.

11h ago