বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার সুযোগ নেই: মেয়র তাপস

বুধবার মেয়র হানিফ উড়ালসেতু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিএসসিসি মেয়র তাপস। ছবি: সংগৃহীত

বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে, ওই এলাকার সবাই পার্কটি উপভোগ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

গত বছর বাহাদুর শাহ পার্কে রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হলে এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হবে বলে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। 

এ প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, 'বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজ সেখানে যান তাহলে দেখবেন যে ওই এলাকার সব মানুষ সেটা উপভোগ করছে। উদ্যানটি দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।'

ওই পার্কে যারা ঘুরতে যান, তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের জন্য অস্থায়ী খাবারের দোকান দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র। 

তিনি বলেন, 'সেখানে একটি আদালত আছে। সেখানে বিশাল জনসমাগম হয়। তাদের মাধ্যমেই (যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে) আমরা পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মুক্ত রাখছি। আমরা এখন সেখানে বেষ্টনী দেবো এবং দুটো ফটক রাখব, যেন বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।'

'বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে আমরা জনকল্যাণে সেটার ব্যবহার নিশ্চিত করছি,' যোগ করেন তিনি। 

এদিকে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও সেখানে ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে জানান মেয়র ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, 'মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল, বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় আছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখলমুক্ত করে উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা ৮টি অংশে (উড়ালসেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই ৮টি অংশে আমরা খুব দ্রুতই কাজ শুরু করব।' 

পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছিল যে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু জানুয়ারিও পার হয়ে গেল, এখনো স্থানান্তরিত হয়নি। আমি আশা করব এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমাদের শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য ঘর-গুদাম করা হয়েছে, সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরাতন ঢাকার বিপদজনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।'

এর আগে তিনি সবুজবাগের মানিকদিয়া ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। 

Comments

The Daily Star  | English

Chhatra Dal rally begins at Shahbagh

BNP’s Acting Chairman Tarique Rahman joined the rally virtually as the chief guest

2h ago