মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের শুনানি শুরু

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

'বিতর্কিত মন্তব্যের' বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে।

আজ সোমবার রিট আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। সেজন্য শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।'

আজ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

শুনানিকালে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ হাইকোর্টকে বলেন, আবদুল মোমেন এই মন্তব্য করে তার শপথ ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, তাই তিনি মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় রিট আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্য বিকৃতভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি তা গণমাধ্যমের কাছে পরিষ্কার করেছেন।

তিনি বলেন, প্রচার পাওয়ার জন্য রিট আবেদন করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিএজিকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই আদালতে তার যুক্তির সমর্থনে নথি জমা দিতে বলেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে রিট আবেদনটি করেন এবং বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আবদুল মোমেন পদে থাকার যোগ্য কিনা তা জানতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আবেদন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

8h ago