বাস ধর্মঘটের ঘোষণায় পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা

কুয়াকাটা
পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার সৈকতটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। 

কিন্তু, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতি ৪-৫ নভেম্বর ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়ায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। 

আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এ বাস ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ীরা। 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে ধর্মঘটের এ সিদ্ধান্তের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।

আজ বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম বাচ্চু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক নেই বললেই চলে। এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।'

কুয়াকাটা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেক পর্যটক বুকিং ফিরিয়ে নিচ্ছেন। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় ওই দুদিন বেশি বুকিং থাকে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে বুকিং ফিরিয়ে নেওয়ায় হোটেলগুলো বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।' 

ফরিদপুর থেকে বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুস সাত্তারের সপরিবারে শুক্রবার সকালে যাওয়ার কথা ছিল কুয়াকাটায়। সেখানে আবাসিক হোটেল 'খান প্যালেসে' তিনি রুম বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই হোটেলের ম্যানেজার আব্দুস শাকুর জানান, দুদিন বাস ধর্মঘটের কারণে আব্দুস সাত্তার বুকিং বাতিল করেছেন।

ওই হোটেলে রুম বুকিং দেওয়া আরও অন্তত ১০ জন পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন বলে জানান ম্যানেজার।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় ১৫-২০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। এই পরিবহন ধর্মঘটের কারণে অনেক পর্যটক আগাম বুকিং ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়লেন।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

1h ago