দিনে ‘২ ঘণ্টা’ খোলা থাকে কমিউনিটি ক্লিনিকটি
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর পাড়ে চর গোকুন্ডা গ্রামের শতাধিক পরিবারের একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিকটি ৬ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা থাকলেও সেটি ২ ঘণ্টা খোলা থাকে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
১৯৯৮ সালে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিক শুরুতে নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছিল এবং চরের মানুষজন আশানুরূপ স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছিলেন। কিন্তু, গত কয়েকবছর ধরে ক্লিনিকটি অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চর গোকুন্ডা কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে সেটিকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকার কথা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্লিনিকটির কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রবিউল ইসলাম কোনো নিয়ম মানছেন না। তিনি সকাল ১১টায় ক্লিনিকে যান। আর দুপুর ১টার আগেই তিনি ক্লিনিকে তালা দিয়ে চলে যান। বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে মাঝেমাঝে ক্লিনিকটি খোলাও হয় না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিদা বেগম (৫৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কমিউনিটি ক্লিনিকটি ঠিকমতো খোলা পাওয়া যায় না। অল্প সময়ের জন্য ক্লিনিকটি খোলা রাখা হলেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায় না। ক্লিনিকটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।'
চর গোকুন্ডার আরেক বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কমিউনিটি ক্লিনিকটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সিএচসিপিকে বলা হলেও, তিনি কারও কথা শোনেন না। এজন্য গ্রামবাসীর সঙ্গে প্রায়ই তার বাকবিতণ্ডা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।'
এ বিষয়ে সিএইচসিপি রবিউল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ছেলে অসুস্থ। তাই গত শনিবার দুপুর ১২টার আগে ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়া, প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করি।'
স্থানীয়দের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ অভিযোগ সঠিক নয়।'
জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা হেলথ ইনস্পেক্টর (এইচআই) আবুল কালাম আজাদ রোববার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিএইচসিপি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এ বিষয়ে শিগগির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. দীপঙ্কর রায়ও।
Comments