‘চেষ্টা করতে হবে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব থেকে যেন মুক্ত থাকতে পারি’
খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে, মাটি ও মানুষ দিয়ে এ দেশকে সুরক্ষিত রাখবো। যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে।
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামে নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে আয়োজিত নৌবাহিনীর ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্র্যাফট (এমপিএ) সংযোজন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ইতোমধ্যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। তবে দুর্ভাগ্য হলো যে, করোনাভাইরাসের অভিঘাত, পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের উন্নয়নের গতি অনেকটা স্লথ হয়ে গেছে। শুধু আমরা না, বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। সেই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে, মাটি ও মানুষ দিয়ে এ দেশকে সুরক্ষিত রাখবো। যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে। তা ছাড়া, আমাদের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দ্বীপাঞ্চল থেকে সব অঞ্চলগুলো ও সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত করার জন্য সব সময় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আজকে আমরা যে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যদিও কিছুটা আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেওয়ার প্রভাব আমাদের ওপর পড়েছে কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে এর থেকে যেন আমরা নিজেরা মুক্ত থাকতে পারি। সমুদ্রসম্পদ আমাদের অর্থনৈতিক কাজে কীভাবে আমরা ব্যবহার করতে পারি, সুনীল অর্থনীতি চালুর মাধ্যমে আমরা তা করতে পারি এবং সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
এর আগে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে সমুদ্র এবং আকাশ সবই যাতে সুরক্ষিত থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা আমাদের নৌবাহিনীকে ত্রিমাতৃক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি।
এ ছাড়া, চলমান অন্যান্য প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
Comments