জঙ্গি-সন্ত্রাসী দমনে যৌথ বাহিনীর অভিযান: বান্দরবান পর্যটকশূন্য

বান্দরবান। ছবি: মোবাশ্বের হোসেন

সন্দেহভাজন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযান চালানোর জন্য বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা অভিযানের স্বার্থে থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে পর্যটকদের ভ্রমণকে নিষেধ বা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।'

উল্লেখ্য, বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমনে এখনো যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও অংশ নিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে সেখানকার গ্রামগুলোতে। প্রতিদিনই সেখানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো টহল দিচ্ছে।

বান্দরবান মাইক্রো-জিপ-মহেন্দ্র মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, সোমবার রাত থেকে পাহাড়ে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পাহাড় কন্যা বান্দরবান। গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকায় সকালে বান্দরবান থেকে থানচি উপজেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পর্যটকবাহী যানবাহনগুলোকে মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্প থেকে বান্দরবানের দিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এ নিষেধাজ্ঞার কারণে শহরের আবাসিক হোটেলগুলো এখন পর্যটকশূন্য। আগের সব বুকিং বাতিল করা হয়েছে। শহরের বিলাসী আবাসিক হোটেল হিলটন ও হোটেল হিলভিউতে এখন পর্যটক নেই।

সকালে যারা এসেছেন তারা ভ্রমণ বাতিল করে কক্সবাজার ও ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সকালে পর্যটকদের নিয়ে কয়েকটি জিপগাড়ি থানচি উপজেলার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্প থেকে পর্যটকদের বান্দরবানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জেলা শহরের মেঘলা ও নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও ভ্রমণের অনুমতি মিলছে না।

বান্দরবানের অভিজাত আবাসিক কমপ্লেক্স সাইরু হিল রিসোর্টের ডেপুটি ম্যানেজার মীর আতিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে ৭০ জনের একটি পর্যটক গ্রুপ সাইরু রিসোর্টে আসার কথা ছিল। সকালে তারা বান্দরবানে পৌঁছালেও থানচি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সাইরুতে আসতে পারেননি।

অন্যদিকে, সাইরুতে অবস্থান করা ৪০ জনের একটি দল আজ সকালে চেক আউট হওয়ায় বর্তমানে এ পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা ভ্রমণের ওপর গতকাল সোমবার থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় ভ্রমণে কোনো বাধা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

8h ago