বিএনপির বাবর ও পিন্টুর মুক্তি দাবির নিন্দা, ২৬ নাগরিকের বিবৃতি

বাবর ও পিন্টু
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ২৬ নাগরিক।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা নিন্দা জানান।  

বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল ময়মনসিংহে জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লুৎফুজ্জামান বাবর এবং উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

আদালতে প্রমাণিত বর্বর গ্রেনেড হামলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করার মধ্যে দিয়ে এ হামলায় তৎকালীন জোট সরকার এবং তাদের রাজনৈতিক সহযোগীদের সম্পৃক্ততার কথাই সত্যে প্রমাণিত হলো বলে জানান বিবৃতিদাতারা।

মুখে তারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বললেও বাস্তবে তারা যে সন্ত্রাসী এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডকে পৃষ্টপোষকতা করে, তার এ বক্তব্য সে সত্যকে তুলে ধরেছে বলে মনে করেন তারা।

বিবৃতিতে একই সাথে চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম চৌধুরীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিদাতারা গণতন্ত্রের লেবাসধারী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন সাংবাদিক আবেদ খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, আইনজীবী আবদুন নূর দুলাল, অধ্যাপক ড. এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম, নাট্যশিল্পী সারা যাকের, আবৃত্তিশিল্পী আহ্কাম উল্লাহ্, অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, নৃত্যশিল্পী মিনু হক, সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, চারুশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, অভিনেতা জিয়াউল হাসান কিসলু, অভিনেতা কাউসার চৌধুরী, নাট্যশিল্পী মিজানুর রহমান, নাট্যশিল্পী আক্তারুজ্জামান ও অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচী। 

Comments