বিআরটি প্রকল্প গলার কাঁটা হয়ে গেছে: সেতুমন্ত্রী
গাজীপুরে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প গলার কাঁটা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা প্রকল্প আমাদের গলার কাঁটা হয়ে গেছে। সেটা হলো বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প। প্রকল্পটি আমি আসার আগেই নেওয়া হয়েছিল। এটা চিন্তা-ভাবনা করা উচিত ছিল, গাজীপুরে যে রকম রাস্তার অবস্থা, ড্রেনেজ সিস্টেম—ভেরি পুওর। সেখানে এ প্রকল্পটা কতটা বাস্তবসম্মত...ভাবনার ঘাটতি ছিল। যে কারণে আমি বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছি। বিআরটি প্রকল্প মহাখালী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত নিয়ে আসার প্রস্তাব তারা দিয়েছিল, আমি বলেছি এই প্রকল্পের দরকার নেই।
তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোড সেইফটি প্রোগ্রাম। রোড সেইফটি প্রোগ্রামে যে ফান্ডিং করবেন সেটা তরান্বিত করেন। বিশ্বব্যাংক কাজ করে কিন্তু ধীরে, আমাদের এটা খুব জরুরি হয়ে গেছে। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি, যত সাফল্যই আমরা দেখাই না কেন! সাফল্য আছে। আরও যেসব প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল, এত ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস। এগুলো অবশ্যই দেশের সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। পাহাড়েও সীমান্ত সড়ক হচ্ছে। মাঝে কিছু দিন বন্ধ ছিল, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির কারণে কিছু দিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এখন আবার শুরু হয়েছে।
এখন ঢাউস পরিকল্পনা নেওয়ার ব্যাপারে আমি বারণ করেছি। এখন আমাদের দেশের অস্তিত্ব, সারা পৃথিবীতে যে ক্রাইসিস, যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া সারা বিশ্বজুড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রতিক্রিয়া চরমভাবে দেখা দিয়েছে। আমরা মাত্র দশমিক শূন্য ৬ নিঃসরণ আমাদের। অথচ আমরা মূল্য দিচ্ছি অনেক। আমাদের প্রতিশ্রুত ফান্ড দেওয়া হয়নি। এ সংকট আমাদের সবাইকে মোকাবিলা করতে হবে, বলেন ওবায়দুল কাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিআরটি প্রকল্পে যখন দুর্ঘটনা ঘটলো, তখন এই প্রকল্পের ৭৯ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। দেশের সম্পদ-টাকা বিবেচনা করে ঠিক করা হয়েছে যেহেতু ২০ শতাংশ কাজ বাকি, এরা এটা করুক কিন্তু এরা বাংলাদেশে আর কোনো কাজ করবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আমরা এটা উদ্বোধনই করতে পারবো। এই লক্ষ্যে এগুচ্ছি।
Comments