জাজিরায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে জেলেদের হামলা, ইউএনও আহত

জাজিরার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান সোহেল। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় জেলেদের হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান সোহেল। 

শনিবার দুপুরে ১০ জন জেলেকে আটক ও ২ লাখ মিটার মাছ ধরার কারেন্ট জাল জব্দের পর রাত ৯টার দিকে জাজিরার পাইনপাড়া এলাকায় ইলিশ ধরার কাজে ব্যাবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলার (নৌকা) জব্দ করতে গেলে জেলেরা অভিযান দলের ওপর হামলা করেন।

এ সময় জেলেদের হামলায় ট্রলারে থাকা জাজিরার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল আহত হন। পরে রাত ১১ টায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ে ফেরেন তিনি।

ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল রাত সাড়ে ১২টায় দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'শনিবার সকাল ১১টায় জাজিরার মাঝিরঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে যাই। এসময় আমার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসাইন ও মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ফাড়ির আইসি মো. জহিরুল হক। অভিযানে মা ইলিশ ধরার কাজে ব্যবহৃত ৩টি ট্রলার ও ২ লক্ষ মিটার মাছ ধরার কারেন্ট জাল জব্দ করি এবং ১০ জন জেলেকে আটক করি। আটককৃতরা সবাই পাইনপারা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।'  'আটককৃত ১০ জনের মধ্যে ১ জনকে ২ মাস, বাকি ৯ জনকে ৩০দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ও ৩ টি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করে জাজিরা নৌ-পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা রাত ৯টার দিকে জাজিরার পাইনপাড়ার মাঝিরচর এলাকায় যাই। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দেখতে পাই। এসময় আমরা ট্রলারগুলো জব্দ করে নিয়ে যেতে চাইলে। তাদের জানাই, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে সব ফেরত পাবেন। কিন্তু এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জেলেরা লাঠিসোটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা ট্রলারে গেলে সেখানে আমি আহত হই, আমার পায়ে আঘাত লাগে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে। পরে ওই স্থান থেকে আমারা সরে আসি।' 

'শনিবার  রাত ১১টার দিকে অভিজান শেষ করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ১২ টা ২০ মিনিটে আমার কার্যালয়ে ফিরে আসি,' বলেন তিনি। 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

1h ago