‘সব দেশেই খুন-গুমের ঘটনা ঘটে, এজন্য সরকার দায়ী না’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার দেশে বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। দেশে গুমের ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, 'সরকার চায় না দেশে কেউ গুম হোক, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হোক।'
সব দেশেই খুন-গুমের ঘটনা ঘটে, এজন্য সরকার দায়ী না। বরং যারা খুন-গুমের ঘটনা ঘটায়, তাদের শাস্তি দিতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট থাকে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে শেখ হাসিনা সরকার দায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'হঠাৎ কোনো একটা ঘটনা ঘটলে আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে হইচই শুরু করে। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।'
এটা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাহেবের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন খাঁন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহেবের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. ইকবাল আহমদ।
সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাছিত ও সেলিম উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক, সাহেবের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ দেবেন্দ্র কুমার সিংহ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন-অর রশিদ।
পরে মন্ত্রী সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'সিলেটে আরও ৩টি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রস্তাবনা সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।'
একইসঙ্গে সিলেটে বেদখল হওয়া পুকুরগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'সিলেট একসময় মাঠ ও পুকুরের নগরী ছিল। এখন মাঠ ও পুকুরগুলো বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।'
মেয়েদের খেলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'সিলেটের মানুষ কিছুটা রক্ষণশীল। তারপরও এখানে স্থানীয়রা মেয়েদের খেলা নিয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।'
আগামীতে সিলেট থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Comments