গুমবিষয়ক জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ‘ভুল তথ্য’ আছে: মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে 'গুমের' বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে কিছু 'ভুল তথ্য' রয়েছে যা খুবই দুঃখজনক। 

তিনি বলেন, 'ভারতের কারাগারে ছিলেন বা ভারতে থাকেন এমন ব্যক্তিদের তথ্যও সেখানে আছে। তাদের গুম করা হয়েছে বলা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। আমি আশা করি ভবিষ্যতে জাতিসংঘ এটি সংশোধন করবে।'

আজ মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ গত ২০ সেপ্টেম্বর জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশের ৮১টি গুমের ঘটনার তদন্ত করছে।

মোমেন বলেন, 'মানবাধিকার কাউন্সিল বাংলাদেশের বক্তব্য গ্রহণ করেছে, যদিও তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।'

'আমরা মানবাধিকার নিয়ে খুবই সোচ্চার। আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো,' যোগ করেন তিনি।

চলতি বছরের শেষের দিকে মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাংলাদেশ ভোটে জিতবে বলে তিনি আশা করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বের মধ্যে আমরা মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার। আমরা সবসময় সব দেশের মানুষের জন্য মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করি। আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো।'

র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থানকালে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি জানান, আলোচনা হয়েছে।

মোমেন বলেন, 'এটি একটি প্রক্রিয়া এবং আমরা সবসময় এ বিষয়টি উত্থাপন করি। আমরা আইনি প্রক্রিয়া ও লবিং সব উপায়ে চেষ্টা করছি।'

তবে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তা তিনি বলতে পারেননি।

এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঢাকা ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করছে এবং মিয়ানমারের উস্কানির শিকার হবে না।'

গত মাস থেকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে এবং এ পর্যন্ত এসব ঘটনায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus to address nation on eve of Eid-ul-Azha

The nationwide address is scheduled for 7:00pm

1h ago