আঁখিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি নিয়ে জটিলতা নিরসন

ছবি: সংগৃহীত

আইনি জটিলতা কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের জমি বুঝে পেয়েছেন সাফ উইমেন চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ফুটবল খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের পরিবার।

মামালার বাদী আদালতে হাজির হয়ে লিখিত দরখাস্ত দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বরাদ্দ দেওয়া জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। 

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিকে স্থানীয় মসজিদের দখল করা জমি বলে দাবি করে সিরাজগঞ্জের একটি আদালতে মামলা করেন শাহজাদপুর উপজেলার দাবারিয়া এলাকার মো. মকরম হোসেন। 

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে থেমে যায় ফুটবলার আঁখির ঘর তৈরির স্বপ্ন। এ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালচনা শুরু হয়। 

অবশেষে মামলার বাদী মো. মকরম হোসেন সোমবার আদালতে হাজির হয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। 

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলা প্রত্যাহারের পর দাবারিয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ৮ শতাংশ জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।' 

ইউএনও বলেন, শাহজাদপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকার দাবারিয়া মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমি থেকে আঁখির পরিবারকে জমি দেওয়া হয়েছে। নিচু জলাশয়ভুক্ত এ জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ির জমি হিসেবে প্লট করে দেওয়া হবে।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ডেন বুট জেতা ফুটবলার এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম খেলোয়াড় আঁখি খাতুনকে বাড়ি করার জন্য ওই জমি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নানা জটিলতার পরে চলতি বছরের ৪ জুন সিরাজগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আঁখির পরিবারের কাছে ৮ শতক জমির দলিল হস্তান্তর করে স্থানীয় প্রশাসন। 

তবে, জমির দলিল পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। শাহজাদপুর উপজেলার দাবারিয়া মৌজার ওই জমিটি স্থানীয় মসজিদের দখলের সম্পত্তি হিসেবে দাবি করে মসজিদ কমিটির পক্ষে মামলা করেন মো. মকরম হোসেন। 

শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিষয়টি জানার পর মামলার বাদীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বিষয়টি জানানোর পর তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এদিকে জমি নিয়ে জটিলতা নিরসন হওয়ায় আঁখির বাবা আক্তার হোসেন স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। 

আক্তার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা আঁখি দেশের হয়ে সাফল্য বয়ে এনেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি পেয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু আইনি জটিলতায় পরে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও এখন সে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

India bans import of certain jute products, woven fabrics from Bangladesh via land ports

Today's action by DGFT came a little more than one month after India had imposed port restrictions on the import of certain goods like readymade garments and processed food items from Bangladesh via land routes

7m ago