ক্ষতিগ্রস্ত সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

মোগলহাট-দুর্গাপুর সড়কের তালতলা এলাকার সেতুর বেহাল দশা। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

সেতুর মাঝখানে ভেঙে গেছে, আর গার্ডারগুলোও ধসে যাওয়ার উপক্রম। ভগ্নদশার এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মোগলহাট-দুর্গাপুর সড়কের তালতলা এলাকার সেতুটি দিয়ে গত ২ মাস ধরে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সেতুটি যে কোনো সময় ধসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় জলধর চন্দ্র সেন (৫২) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতুটির এমন দশা যে এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু হালকা যানবাহন চলাচল করছে। ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে পণ্য পরিবহন করতে না পারায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন।'

'আমরা যখন সেতুর ওপর উঠি তখন ভয়ে থাকি। সেতুটি যে কোনো সময় পুরোপুরি ধসে যেতে পারে,' তিনি বলেন।

আয়নাল হক (৩৮) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এর আগে এই সেতুর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। সেতুটি সম্পূর্ণ ধসে গেলে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার পথচারী চলাচল করেন। আগে পণ্যবাহী ট্রাক আসত, কিন্তু এখন আর আসতে পারে না।'

জানতে চাইলে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সীমান্তবর্তী মোগলহাট-দুর্গাপুর সড়কটি চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কে সেতুর এমন বেহাল দশা হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।'

যোগাযোগ করা হলে এলজিইডির আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

'আশা করছি চলতি অর্থবছরে নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

NBR moves to speed up auction of abandoned goods

About 2 lakh tonnes of imported goods left abandoned at Chattogram port alone for years

12m ago