সংবাদ প্রকাশের পর টাকা ফেরত পেলেন চা-শ্রমিকরা

গ্রাম পুলিশে উপস্থিতিতে চা-শ্রমিকদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নগদ অর্থ সহায়তার কার্ড পেতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার খাইছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি ৩০০ টাকা অবশেষে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এই বাড়তি টাকা নিয়েছিলেন স্থানীয় কালীঘাট ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দয়াল বুনার্জীর ছেলে মনিশংকর বুনার্জী। দ্য ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশের পর এই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় কালীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করণে 'চা-শ্রমিকদের অনুদানের টাকায় ভাগ বসালেন ইউপি সদস্যের ছেলে' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে কালীঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি তদন্ত শুরু করেন ও সত্যতা পান।

অভিযুক্ত মনিশংকর বুনার্জী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি চা-শ্রমিকদের টাকা ফেরত দিয়েছি ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশকে সাক্ষী রেখে। এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না।'

চা-শ্রমিক যুগ তাঁতী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দয়াল মেম্বারের ছেলে আমাদের বলে যে "আইডি কার্ড যে দিছ টাকার জন্য, সরকার থেকে তোমাদের টাকা আইছে, পাঁচ হাজার টাকা। এখন ৩০০ টাকা দেও, আমি কার্ড দিচ্ছি।" তখন আমরা বলি, "৩০০ টাকা কই পামু?" তখন মেম্বারের ছেলে বলে, "টাকা না দিলে তুমি মেম্বারের কাছে যাইবা। আর ৩০০ টাকা নিয়ে যাইবা।" পরে ৩০০ টাকা দেওয়ার পর আমাদের কার্ড দিছে। তবে আজ সেই টাকা ফেরত দিয়েছে। গ্রাম পুলিশ উপস্থিত ছিল।'

একই কথা জানান চা-শ্রমিক অঞ্জনা ভুইয়া, দূর্গামনি বাড়াইক, বরুন ভুইয়া, জসিম নায়েক।

তারা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমে কালীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা কথা দিয়েছিলেন যে যে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে। অবশেষে গ্রাম পুলিশ শ্যামল তাঁতীকে পাঠিয়ে টাকাগুলো ফেরত দিয়েছে।'

গ্রাম পুলিশ শ্যামল তাঁতী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কালীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালার নির্দেশে আমি মনিশংকর বুনার্জীর নেওয়া টাকাগুলো প্রত্যেক পরিবারকে ফেরত দিয়েছি।'

অভিযুক্ত মনিশংকরের বাবা ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জী বলেন, 'আমার সঙ্গে কোনো লেনদেন হয়নি। ছেলে হয়তো আমাদের নাম ভাঙিয়ে চা-শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ফেরত দিয়েছি।'

ইউপি চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা বলেন, 'বিভিন্ন মাধ্যমে মেম্বারের ছেলে মনিশংকরের শ্রমিকদের কাছে টাকা তোলার খবর পেয়ে আমি দ্রুত তা ফেরত দেওয়ার জন্য বলি। তারা ফেরত দিয়েছে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Fulfilling sky-high expectations Yunus govt’s key challenge

Says ICG report on completion of interim govt’s 100 days in office

5h ago