বিআরটির একটি অংশ আগামী সপ্তাহে চলাচলের জন্য উম্মুক্ত হবে: ব্যবস্থাপনা পরিচালক

জিএমপি ও ডিএমপির দুই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে গাজীপুর মহানগরীর স্টেশন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত অংশে নির্মিত উড়ালসেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি শিগগির খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। 

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশ যেসব পরামর্শ দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি। আমরা আরও কয়েকদিন দেখব, যানবাহনের গতিবিধি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করব।'

'আশা করছি সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাজীপুর মহানগরীর স্টেশন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত অংশে নির্মিত ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, সব ধরনের যানবাহনের জন্যই প্রকল্পের এই অংশ খুলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'আমাদের পক্ষ থেকে উড়ালসেতুতে যানবাহন কীভাবে চলবে, রেলিং ঘেঁষে যেন গাড়ি না চলে, আঁকাবাঁকা অংশে চালকের সাবধানতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছু পর্যক্ষেণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সেগুলো সরেজমিনে দেখা হয়েছে। আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'উড়ালসেতুটি খুলে দেওয়া হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের যানজট কমে যাবে। মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। এতে সেতুর নিচের সড়কের অন্যান্য নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা যাবে।'

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের মধ্যে আছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি উড়ালসেতু। 

এছাড়া, সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে। 

বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুই পাশে উচ্চধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago