মেসি-নেইমারের বাড়ি এখন জামালপুরে!
বিশ্বখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের বাড়ি এখন জামালপুরে। কথাটি শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও সেই বাড়ি দেখতে এখন ভিড় করছেন অনেকেই।
তবে বাড়ি ২টিতে মেসি কিংবা নেইমার কেউ থাকেন না। থাকেন তাদের ২ ভক্ত। যাদের নাম শামীম হাসান ও মিনহাজ ইসলাম।
ফুটবলপ্রেমী শামীম হাসান ইসলমাপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চর দাদনা পূর্বপাড়া গ্রামের বাদশা আলমের ছেলে। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। তিনি ইসলামপুর কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি দোকান পরিচালনা করেন। সেই দোকানের জমানো টাকা থেকেই তার টিনের বাড়িকে রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে। যার মাঝখানে রয়েছে মেসির ছবি এবং একপাশে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা।
শামীম হাসান জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্ত। ভালোবেসে তার ঘরকে রাঙিয়েছেন। সামনে কাতার বিশ্বকাপ। মূলত এ বিশ্বকাপকে ঘিরে তার মূল পরিকল্পনা। তাই বন্ধু স্বপন মিয়াকে দিয়ে আঁকিয়ে নিয়েছেন মেসির ছবি এবং পতাকা।
স্থানীয়রা জানান, একজন খেলোয়াড়ের প্রতি মানুষের এমন ভালোবাসা সত্যিই বিরল। এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখেননি তারা।
অপরদিকে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মিনহাজ ইসলাম। থাকেন ২ বাড়ি পরেই। তিনি ইসলামপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতিবেশী শামীম হাসানের দেখাদেখি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে ভালোবেসে তার বাড়িকে রাঙিয়েছেন ব্রাজিলের পতাকার আদলে।
তিনি জানান, প্রতিবেশী শামীম হাসান যেমন মেসি ও আর্জেন্টিনার ভক্ত। তেমনি তিনিও নেইমার ও তার দেশ ব্রাজিলের ভক্ত। তাই বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িকে ব্রাজিলের পতাকার রঙে রাঙিয়ে তোলেন।
মিনহাজের বাবা আব্দুর রাজ্জাক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি নিজেও একজন ফুটবলার ছিলাম এবং ব্রাজিলের ভক্ত। মিনহাজ পাশের বাড়িতে আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে ঘর সাজাতে দেখে আমার কাছে টাকা চায়। পরে ব্রাজিলের পতাকার আদলে বাড়ি সাজায়। আমিও তাকে উৎসাহ দিয়েছি।
চিত্রশিল্পী স্বপন মিয়া বলেন, আমি ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। তাই যখন শামীম আমাকে মেসি ও ম্যারাডোনার ছবি আঁকতে বললেন, আমি বিনাপারিশ্রমিকে তা করে দেই। এতে আনন্দ পেয়েছি। আমি নিজেও একজন মেসির ভক্ত।
পরে শামীমের দেখাদেখি পাশের বাড়ির মিনহাজ আমাকে ব্রাজিলের তারকাদের ছবি ও ব্রাজিলের পতাকা আঁকার কথা বলেন। আমি সেটাও বিনা পারিশ্রমিকে করে দিয়েছে। কাজ ২ টি করে ভালো লেগেছে।
Comments