ওষুধ একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়, বিবেচনা করেই সময়সীমা দিয়েছি: তাপস
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানের সময়সীমা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার সকালে নগরীর আজিমপুর পদচারী পারাপার সেতু উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, 'অবশ্যই ওষুধ একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এজন্য বিবেচনা করেই আমরা মহল্লার ওষুধের দোকানগুলোকে রাত ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। আমরা খুব গুরুত্ব অনুভব করি যে, হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের সবসময় একটি তাগাদা থাকতে পারে এবং প্রয়োজন থাকে। এজন্য আমরা রাত ২টা পর্যন্ত করেছি। আমরা মনে করি যে, এটা যৌক্তিক। তারপরও কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে লিখিত জানালে আমরা সেটা পর্যালোচনাপূর্বক বিবেচনা করব।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'আপনারা যেমনটি উল্লেখ করেছেন, যেমন: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এটি বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। তারা যদি আমাদেরকে লিখিতভাবে জানায়, তাহলে আমরা সেটা পর্যালোচনা করে পুনর্বিবেচনা করব। কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে প্রয়োজন হয়, ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তোবা সময়টা বর্ধিত করা যেতে পারে। এটা সেই হাসপাতাল ও এলাকার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেই করা হবে। এখন থেকে ঢালাওভাবে কোনো সময়সূচি ছাড়া কেউ চলতে (কার্যক্রম পরিচালনা) পারবে না। সবাইকে একটা সময়সূচির মধ্যে আসতে হবে।'
সঠিক সময়ে দোকান বন্ধ ও তা তদারকি করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যেকোনো আইন বা নীতিমালা প্রয়োগ বা বাস্তবায়নে অবশ্যই কঠোর হতে হয়। তবে সেখানে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। আমি মনে করি, আমরা যে সময়সূচি দিয়েছি, এটা শুধু ঢাকাবাসীই নয়, সারা বাংলাদেশের জনগণ ও বহির্বিশ্বে আমাদের যারা প্রবাসী আছেন, তারাও এটা সাদরে গ্রহণ করেছেন। সুতরাং আমরা জনসম্পৃক্ততা পেয়েছি। তাই, আমি মনে করি এটা বাস্তবায়ন দুরূহ হবে না। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে।'
Comments