আশুলিয়ার ৬ কারাবন্দি শ্রমিকনেতা জামিনে মুক্ত

শ্রমিকনেতা
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয়্র কারাগার থেকে বেরিয়ে এলে শ্রমিক নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টুসহ আশুলিয়ার কারাবন্দি ৬ শ্রমিক নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন আজ সোমবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত এই ৬ নেতার জামিনের আদেশ দেন। আদেশের ভিত্তিতে আজ তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।'

মিন্টু ছাড়া জামিনে মুক্ত অপর নেতারা হলেন-গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আশুলিয়া থানা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মজিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ-সভাপতি আলম পারভেজ ও মো. নান্নু মিয়া।

গত ২৭ জুন হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে 'চাঁদাবাজি'র অভিযোগ তুলে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শতাধিক অটোরিকশাচালক। এর পরদিন বিক্ষোভ থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ১০ জন শ্রমিক নেতাসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

পরে এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ৬ শ্রমিকনেতা। আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিষয়ে কাজী রুহুল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সারা দেশে শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, এ মামলাটি তারই বহিঃপ্রকাশ। শ্রমিকরা ন্যয্য দাবি তুললেই সরকার শ্রমিকদের হয়রানি করে। এটা বন্ধ করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'রিক্সা-অটোরিকশা থেকে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে গত ২৭ জুন আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় শান্তিপূর্ন সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আবার শ্রমিক নেতাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago