মাহবুব তালুকদারের ইচ্ছে ছিল বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যেন দাফন করা হয়

মাহবুব তালুকদার
মাহবুব তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও লেখক মাহবুব তালুকদার ইচ্ছে প্রকাশ করে গিয়েছেন তাকে যেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার মাহবুব তালুকদারের বড় মেয়ে আইরিন মাহবুব দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বাবার ইচ্ছা ছিল তাকে যেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। আমরা সে বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। এই কবরস্থানে বুদ্ধিজীবীদের পাশে মাহবুব তালুকদারকে দাফনের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছি।' 

আইরিন মাহবুব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়র জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের অংশে দাফন করা যাবে। বুদ্ধিজীবীদের অংশে দাফন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আমি কিছু করতে পারব না।'

'বাবার লাশ রেখেছি বারডেমের হিমঘরে। আমার ভাই-বোন আমেরিকা ও কানাডা থেকে আসবেন দু একদিনের মধ্যে। আমি একা কত দিকে দৌঁড়াব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিভাবে যাব? তবে আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী হয়ত কোনোভাবে জেনে যাবেন এবং বুদ্ধিজীবী অংশে দাফনের অনুমতি দেবেন', যোগ করেন আইরিন মাহবুব।

আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে মাহবুব তালুকদারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

মাহবুব তালুকদারকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উনার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশে মাহবুব তালুকদারকে দাফন করা যাবে, আমি তাদের বলেছি।' 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ৩টি অংশ আছে। একটি অংশ সাধারণ কবরস্থান ও একটি অংশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য বরাদ্দ। 

আরেকটি অংশ বীরশ্রেষ্ঠ ও বুদ্ধিজীবীদের জন্য বরাদ্দ। এই অংশে দাফনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago