‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়েও কঠিন আইন আছে অস্ট্রেলিয়া-সিঙ্গাপুরে’

তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের আইনের ধারা আরও কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের উদ্বেগ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশের সব নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে এ আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের  চেয়েও কঠিন ধারা আছে।'

'আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত ও পাকিস্তানেও একইরকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ল করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। সেগুলো নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না,' বলেন তিনি। 

'অনেক সময় আইন না পড়ে, না বুঝেও নানা ধরনের কথা বলা হয়' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই আইনের যেন কোনো অপপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি, কেউ যেন নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।' 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ফিলিস্তিনে শিশুরা ইসরায়েলি সৈন্যের দিকে ঢিল ছুঁড়লে প্রত্যুত্তরে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে তাদের হত্যা করা হয়। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বাংলাদেশকে বাহবা দিলেই হবে না, মিয়ানমারে গিয়ে সেখানে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটা এসব দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজর দেওয়া উচিত।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিল। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। আর ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি ও তাদের দোসর জামাতের হরতাল-অবরোধের নামে শত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Import-export activities halted at Ctg Custom House amid NBR officials' shutdown

The suspension has caused immense sufferings to service seekers, while apparel exporters fear significant financial losses due to shipment delays

19m ago