লুঙ্গি পরে সিনেমা দেখতে বাধা, স্টার সিনেপ্লেক্সের দুঃখ প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

লুঙ্গি পরে আসায় রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সের সনি স্কয়ার শাখায় গতকাল বুধবার এক সিনিয়র সিটিজেনকে সিনেমা দেখতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে সেই সিনিয়র সিটিজেন 'পরাণ' সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। 

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছে লুঙ্গি পরেই তারা সিনেমা দেখতে যাবেন। 'পরাণ' সিনেমার পরিচালক, শিল্পীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই সিনিয়র সিটিজেনের খোঁজ করছেন। তাকে নিয়ে একসঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখতে চান।

পরিচালক রায়হান রাফী, অভিনেতা শরিফুল রাজ সবাই মিলে একটি পোস্ট লিখেছেন, 'এই বৃদ্ধ বাবার সন্ধান দিতে পারবেন কেউ? আমাকে শুধু ইনবক্সে তার নম্বর বা ঠিকানা ম্যানেজ করে দিন প্লিজ। আমি নিজে তার সঙ্গে বসে 'পরাণ' দেখব। আমরা ছবিটা দেখব, বাবা-ছেলে গল্প করব। আমাকে কেউ একটু জোগাড় করে দেন প্লিজ। তাকে খুঁজতে আমাদের সাহায্য করুন। উনি লুঙ্গি পরেই 'পরাণ' দেখবে আমার টিমসহ।''

স্টার সিনেপ্লেক্স এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা জানাতে চাই, আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো কিছুর উপর ভিত্তি করে বৈষম্য করি না। আমাদের সংস্থায় এমন কোনো নিয়ম বা নীতি নেই যা একজন ব্যক্তিকে লুঙ্গি পরার কারণে টিকিট কেনার অধিকারকে অস্বীকার করবে। আমরা জানাতে চাই, আমাদের সিনেমা হলে সবাই নিজেদের পছন্দের সিনেমা দেখার জন্য সবসময় স্বাগতম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ঘটনাটি সম্ভবত একটি দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝির ফলাফল। আমরা এই ঘটনাটি ঘটতে দেখে গভীরভাবে দুঃখিত এবং আমাদের নজরে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা, স্টার সিনেপ্লেক্স পরিবার, আমাদের গ্রাহকদের সেরা সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই ভদ্রলোককে তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের সনি স্কয়ার শাখায় 'পরাণ' দেখার জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাই। এছাড়াও, আমরা এই ঘটনাটি তদন্ত করছি যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল বোঝাবুঝি না হয়। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।'

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

5h ago