যারা নিবন্ধিত থাকবে তাদের নিয়ে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি

ছবি: ইউএনবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, 'তফশিল ঘোষণার আগে যে কয়টা দল নিবন্ধিত থাকে, তাদের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হয়। সময় আসুক, দেখবেন কারা কারা নিবন্ধিত অবস্থায় থাকে। যারা থাকবে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে।'

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আজ শনিবার সকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সিলেট সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, 'আমাদের সংস্কার কমিশন হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এখনো পাইনি। প্রতিবেদন পেলে তারা কী কী সুপারিশ দেয় তা পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।'

তিনি বলেন, 'স্থানীয় সরকার পাঁচ ধাপের ব্যবস্থা। একদিনে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ অনেকে করছেন। কিন্তু এটা বাস্তবসম্মত নয়। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেও সম্ভব নয়। এটা থিওরিটিক্যালি সম্ভব হলেও বাস্তবায়নযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন কবে হবে এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।'

সিইসির ভাষ্য, '১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে টাইমফ্রেম দিয়েছেন, তা মাথায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী নির্বাচন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আর জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে হবে না। এমন কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।'

তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা হালনাগাদে মানুষের ভোগান্তি যাতে কমে, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো এড্রেস করছি। যারা দুর্নীতিতে জড়িত ছিল, প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দিচ্ছি না, দিবো না। কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে ছাড় দিবো না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শতভাগ বিশ্বাসী। কিন্তু একটা বুথে অনেক সাংবাদিক ঢুকে গেলে একটু সমস্যা হয়। আমরা একটা নীতিমালা ঠিক করে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবো। আমাদের সব কাজ স্বচ্ছ এবং এটা স্বচ্ছই রাখতে চাই।'

'প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে তফশিল ঘোষণার আগেই তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। অনেকেই ইতোমধ্যে ভোটার হয়েছেন, বাকিদেরও নিবন্ধনের উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রথম বছরে শতভাগ সম্ভব না হলেও আমরা যাত্রা শুরু করতে চাই', যোগ করেন এ এম এম নাসির উদ্দীন।

Comments

The Daily Star  | English

Top criminals on extortion spree

In November last year, a contractor secured the work to demolish a building in Dhaka’s Moghbazar for Tk 16.5 lakh. Shortly afterwards, members of a local gang arrived at the site and demanded Tk 3 lakh to allow the work to proceed.

5h ago