৭ লাখ টাকায় ৪টি ফ্ল্যাট কিনেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এহেছানুল হায়দর
রাউজান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের একমাত্র প্রার্থী একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী গত পাঁচ বছরে সাত লাখ টাকায় চারটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এমনটিই উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এহেছানুল হায়দর চৌধুরীর বার্ষিক আয় পাঁচ বছরে দেড় গুণ বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে তার স্থাবর সম্পদও প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
এহেছানুল রাউজান উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনিই একমাত্র প্রার্থী। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষও।
২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, এহেছানুলের বার্ষিক আয় ছিল ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৪ টাকা। তবে ২০২৪ সালে ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, তার বার্ষিক আয় বেড়ে ৩১ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৪ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার আয় দেড় গুণ বেড়েছে।
এহেছানুল ২০১৯ সালে অ্যাপার্টমেন্ট এবং দোকান ভাড়া থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭৪ টাকা আয় করতেন। তবে, ২০২৪ সালে তিনি একই খাত থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার টাকা আয় করছেন। অর্থাৎ এই খাত থেকে তার আয় সাড়ে ছয় গুণ বেড়েছে।
এবারের হলফনামা অনুযায়ী, এহেছানুল কৃষি থেকে ১ লাখ টাকা, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১২ লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান পদের সম্মানী থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও জামানতের সুদ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা আয় করেন।
২০১৯ সালে এহেছানুলের স্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, যেখানে ২০২৪ সালে তার স্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ২১ হাজার টাকা। অর্থাৎ তার স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, এহেছানুলের কোনো আবাসিক ভবন ছিল না, তবে ২০২৪ সালের হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন যে, তার ৪৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের হাজার বর্গফুটের একটি আবাসিক ভবন রয়েছে।
২০১৯ সালে এহেছানুল উল্লেখ করেছিলেন যে তার ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, আর ২০২৪ সালের হলফনামায় বলা হয়েছে, তার আরও চারটি ফ্ল্যাট আছে যেগুলোর মূল্য ৭ লাখ টাকা।
২০১৯ সালে এহেছানুলের ব্যবসার মূলধন ছিল ৮০ লাখ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালে মূলধন বেড়ে হয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা।
Comments