বিধি ভেঙে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম রতনের মোটরসাইকেল শোডাউন
সুনামগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নির্বাচনী বিধি ভেঙে মোটরসাইকেল শোডাউন ও জনসভায় যোগ দিয়েছেন।
মোটরসাইকেল শোডাউন ও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার আগে জনসভায় যোগ দেওয়া 'সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮' এর লঙ্ঘন।
মোয়াজ্জেম রতনের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে ও এই প্রতিবেদকের হাতে আসা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি থেকে জানা যায়, মোয়াজ্জেম রতন আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে তার সংসদীয় আসনের অন্তর্গত তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হয়ে তার বাড়ি ধর্মপাশা উপজেলায় যান।
তার সমর্থকরা জানান, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার জন্য প্রায় ১ হাজার মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় মোটরসাইকেলই একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হওয়ায় শোভাযাত্রার কারণে ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পথসভায় এবং তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাটে একটি জনসভায়ও অংশ নেন আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য।
'সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮' এর ধারা ৮ অনুযায়ী কোন প্রার্থী মোটরসাইকেলসহ যেকোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে শোডাউন করতে পারবেন না।
বিধিমালার ধারা ১২ অনুযায়ী নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখের তিন সপ্তাহের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা যাবে না।
মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ২০০৮ সাল থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলা) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রনজিত চন্দ্র সরকারকে মনোনয়ন দেওয়ায় রতন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আচরণবিধি ভাঙার ব্যাপারে কথা বলতে মোয়াজ্জেম রতনের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল ধরেননি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও সুনামগঞ্জ জেলাধীন সকল সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, 'এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।'
Comments