‘যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো সহিংসতার ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে’
জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
গতকাল সোমবার রাতে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল একথা জানান। তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।'
প্যাটেল আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত দেশটি বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।
এমন সময় এই মন্তব্য এল যখন বিরোধী দল বিএনপি দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার এই কর্মসূচিতে বিরতি দেওয়া হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ ও অন্য কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছে এবং শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না বা সুনির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতও দেখায় না।
'এ মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জানুয়ারির ভোটগ্রহণ পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশের দিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সরকার, বিরোধীদলের নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ স্থাপন করে সবাইকে একসঙ্গে বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানানো', যোগ করেন তিনি।
প্যাটেলকে ঢাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তথাকথিত উপদেষ্টা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্যাটেল জানান, তিনি আরেফির বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেখেননি।
'সত্য বলতে, আমার কোনো ধারণা নেই কি নিয়ে কথা বলছেন, বলেন প্যাটেল।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ঢাকার দূতাবাসে একটি অত্যন্ত প্রতিভাবান দল রয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন এমন একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত, যিনি শুধু বাংলাদেশে কাজ করার জন্য দক্ষতাসম্পন্ন নন, বরং সার্বিকভাবে এই অঞ্চলের জন্য তিনিই উপযুক্ত ব্যক্তি। এবং আমি আবারও বলছি, আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। ভোটগ্রহণ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।'
Comments