‘প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তখন ইন্টারফেয়ার করতে পারব’

ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ; নির্বাচন তিন মাস পরে হবে, ছয় মাস পরে হবে কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রক্ষেপণ অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

তফসিল ঘোষণার আগেও কমিশন ভোটের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে কি আপনাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে—বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগগুলো করছে; ভোটের পরিবেশ এখন নেই, গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'খুব জটিল প্রশ্ন, আমি উত্তর দিতে পারব না এই মুহূর্তে। ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ; নির্বাচন তিন মাস পরে হবে, ছয় মাস পরে হবে কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রক্ষেপণ অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে।'

তিনি বলেন, 'মনে করেন, আপনারা বলছেন, আমরা পারি না। কালকে জেলা প্রশাসকরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলেন। ওরা সবাই ঢাকায় এসে বললেন এবার আমরা একটা বিশেষ দলকে অবশ্যই অবশ্যই ক্ষমতায় নিয়ে আসব। নির্বাচন আরও ছয় মাস পরে। আমরা কি নিশ্চুপ বসে থাকব? এখানে তাদেরকে তো একটা নির্দেশনা দিতে হবে, না, এভাবে আপনারা আচরণ করতে পারেন না।'

'কারণ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ, অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইন-শৃঙ্খলনার বিষয়টি তাকেই দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইব না যে, কোনো জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক,' বলেন তিনি।

বিরোধী পক্ষ একটি অভিযোগ করছে, এটা আইওয়াশ—গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'এটার প্রশ্ন (জবাব) আমি দেবো না।'

জামালপুরের জেলা প্রশাসকের ক্ষেত্রে যেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে রকম আরও উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয় আমরা তখন নিশ্চয়ই এ ধরনের উদ্যোগ নেব।'

তফসিল ঘোষণার আগেও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ আছে বলে আপনি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার সফরে বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে কোথাও যাচ্ছেন, সরকারি কাজে যাওয়ার পরেও যখন ভোট চাইছেন, সেখানে কমিশনের কথা বলার কোনো এখতিয়ার আছে কি না জনতে চাইলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'এই প্রশ্নের উত্তর আমি চট করে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছেন, আওয়ামী লীগ কথা বলছেন, জাতীয় পার্টি কথা বলছেন, সবাই কথা বলছেন তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে; প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে তখন নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে কিন্তু এ বিষয়টা আমরা ওইভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago