মায়ের জনসংযোগে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ জাহাঙ্গীরের
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মা মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের (ঘড়ি প্রতীক) পক্ষে জনসংযোগে গিয়ে নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘড়ি প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিকেলে মা ও তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। টঙ্গী রেলগেটের পশ্চিম পাশে যাওয়ামাত্র নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বাধা দেয়, পরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের ৭ কর্মী আহত হন।
তিনি বলেন, 'হামলার সময় ঘটনাস্থলে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ আসে। তারপরও হামলাকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ থামায়নি।'
জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের স্বজন ও কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত ৪ জনের নাম জানান তিনি। তারা হলেন- মজিবুর, নকীব আশরাফ, বাপ্পী ও শরীফ। আহত বাকি ৩ জনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।
আহতদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'তারা কেউ মাথা ও কপালে আঘাত পেয়েছেন এবং তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।'
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যাদের সামনে হামলা হয়েছে, তাদের কাছে অভিযোগ করে কী লাভ?'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে নৌকা ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা টঙ্গী রেলগেটের কাছে মুখোমুখি হন। এসময় ইট-পাটকেল ও জুতা ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। পরে মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা প্রায় এক ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের ফোনে কল করলে রিসিভকারী নিজেকে তার কর্মী বলে পরিচয় দেন। আজমত উল্লাহ খান এ মুহূর্তে কথা বলতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, 'স্যার একটি পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন।'
Comments