ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুস সাত্তার পেলেন ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে বরাদ্দের এক দিন পর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করা হয়েছে। 
আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে বরাদ্দের এক দিন পর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করা হয়েছে। 

বিএনপি থেকে পদত্যাগকৃত ও পরে বহিষ্কৃত নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার 'ডাব' প্রতীক পরিবর্তন করে 'কলার ছড়ি' এবং জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধার 'সিংহ' প্রতীক পরিবর্তন করে 'আপেল' বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, 'গতকাল এই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে যে দুটি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দ করা। উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পাওয়া "ডাব" প্রতীকটি বাংলাদেশ কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দকৃত।'

বাংলাদেশের ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সর্বশেষ নিবন্ধিত ৪৪তম দল বাংলাদেশ কংগ্রেস।‌ ‌এই দলটি ২০১৯ সালের ৯ মে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়। 

এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি তারিখে নিবন্ধিত ৪৩ নম্বর দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতীক 'সিংহ'। সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে এই প্রতীকটি বরাদ্দ দেওয়ার পর পরিবর্তন করা হয়। 

এর আগে, সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সম্মেলন কক্ষে এই নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু আসিফ আহমেদকে 'মোটরগাড়ি', জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানীকে 'লাঙ্গল' এবং জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েলকে দলীয় প্রতীক 'গোলাপ ফুল' বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে এই আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়।

উপনির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন এ উপনির্বাচনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও, শেষ পর্যন্ত ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago