দ্বিতীয় মেয়াদে রংপুর সিটি মেয়র জাপার মোস্তাফিজার রহমান

মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা। লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লুৎফা ডালিয়া নৌকা মার্কা নিয়ে ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি চর্তুথ স্থানে রয়েছেন।

লাঙ্গল প্রতীকের নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান হাতি মার্কা নিয়ে ৩৩ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

 

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কারিগরি ত্রুটি ও ভোটারদের আঙুলের ছাপ শনাক্ত করতে দেরি হওয়ায় অনেক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে সন্ধ্যায়।

রংপুর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

ফল ঘোষণার সময় গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন মোস্তফা।

এদিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রসিক নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয় ২০১২ সালে। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর নবগঠিত রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো রসিকের মেয়র নির্বাচিত হন।

২০১৭ সালে আবারও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোস্তফা। সে নির্বাচনে ঝন্টুকে ৯৮ হাজার ভোটে হারিয়ে তিনি রসিকের মেয়র হন।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রসিকের ৩য় নির্বাচনে জয়লাভের পর মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, 'আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রসিকের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা।'

তিনি আরও বলেন, 'ভোট ফেয়ার হয়েছে কিন্তু ইভিএমের সমস্যা না থাকলে আমি আরও বেশি ভোট পেতেন।'

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডালিয়ার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

5h ago