নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী

পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত বাউফল-দশমিনা উপজেলা নারী সদস্য পদে পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

পরাজিত সদস্য প্রার্থী রুবিনা আক্তার গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার বকুলতলা এলাকায় গিয়ে এক ইউপি সদস্যের কাছে টাকা ফেরত চান।

টাকা ফেরত চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পটুয়াখালীতে বাউফল- দশমিনা উপজেলায় নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

তারা হলেন-কামরুন নাহার, পশারী রানী, ফাতেমা আলম ও রুবিনা আক্তার। নির্বাচনে কামরুন নাহার ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পশারী রানী পান ১২০ ভোট। অপর দিকে রুবিনা আক্তার ৩৬ ভোট পান। আরেক প্রার্থী ফাতেমা আলম কোনো ভোট পাননি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রুবিনা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, 'আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটারদের ২ হাজার করে টাকা দিয়েছি। তারা টাকা নেওয়ার সময় আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে ভোট দেবে। কিন্ত তারা অনেকেই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা ভোট দেয়নি তারা অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু এই মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমাকে টাকা ফেরত দিতে দিচ্ছে না, বরং অপমান করছে।' 
তবে এই ভিডিওতে অবশ্য ওই ইউপি সদস্যকে দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পরিষদ নির্বাচনের এক ভোটার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এই প্রার্থী দিয়েছেন ২ হাজার টাকা। তিনি কীভাবে ভোট পাবেন?' 

মন্তব্য জানতে রুবিনা আক্তারকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন অবৈধ। এ বিষয়ে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

6h ago