গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা

cec_habib1.jpg
কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে সিইসি এ ঘোষণা করেন।

সিআরপির ৯১ অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন বন্ধের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'আইন অনুযায়ী যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না তাহলে ভোট বন্ধ করে দিকে পারে।'

এর আগে দুপুর পর্যন্ত মোট ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ নানা অনিয়মের কারণে বন্ধ করা হয়।

আজ দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, 'আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।'

'নির্বাচন কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল তা আমরা বলতে পারবো না' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে কী হচ্ছে এবং সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে তা চটজলদি বলতে পারবো না।'

তিনি আরও বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে।'

'এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরকেই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি, নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না', যোগ করেন তিনি।

গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর তফসিল অনুযায়ী শুরু হয় ভোটগ্রহণ। কিন্তু শুরুতেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে ইসিতে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

8h ago