পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের ভোটকেন্দ্রে ডামি ভোটারের লাইন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের ভোটকেন্দ্রে ডামি ভোটার
দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভুয়া ভোটারদের এনে এই লাইনটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক। ছবিতে পুরুষদের সারিতে তাকে দ্বিতীয় অবস্থানে কালো প্যান্ট, বাদামি জুতা ও ফুলহাতা শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীর দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টায় ভোট দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন।

ভোর ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রে তেমন ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও ১০টা বাজার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভোট দিতে আসার কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রটিতে হঠাৎ নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। আর মন্ত্রী ভোট দিয়ে কেন্দ্র ছাড়তেই লাইনে থাকা সবাই সরে পড়েন।

উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাদের ভোটার ভেবে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তাদের কাছে অসামঞ্জস্যতা ধরা পরে।

জানা যায়, লাইনে থাকা এই শতাধিক নারীদের সবাই নার্স, যাদেরকে নিয়ে এসে দীর্ঘ সারি দেখানোর এই কাজটি করেছেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক।

কেন্দ্রের বাইরে ভুয়া ভোটারদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানোর নির্দেশনা দিচ্ছেন ইসরাইল আলী সাদেক। ছবি: সংগৃহীত

এই সময় সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক সাদিকুর রহমান সাকি ও দেবাশীষ দেবু উপস্থিত নার্সদের সঙ্গে কথা বলে এই অসামঞ্জস্যতার বিষয়টি বুঝতে পারেন বলে জানান।

দ্য ডেইলি স্টারের কাছে আসা ছবিতে দেখা যায় সাদেকের নির্দেশনায় এই নারীরা সারিবদ্ধ হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মৃণ্ময় দাশ জানান, তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে ভোটকক্ষে ছিলেন তাই দীর্ঘ সারির বিষয়টি চোখে পড়েনি।

দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভুয়া ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে কথা বলতে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকের নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

1h ago