ভোটের দিনে ফাঁকা ঢাকা
রাজধানীসহ সারাদেশে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলছে, তখন রোজকার কোলাহলমুখর ঢাকা যেন এক ভিন্ন রূপ নিয়েছে। গাড়ির হর্ন, রিকশার ঘণ্টা আর মানুষের কর্মকাণ্ডে সদা চঞ্চল রাজধানী যেন নির্জনতার রূপ পেয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মগবাজার, তেজগাঁও মহাখালী, বনানী, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ রাস্তাই প্রায় যানবাহন ও লোকজন শূন্য।
জাতীয় নির্বাচনের উচ্ছ্বাস নিয়ে যে চিরচেনা রূপ দেখা যায় সেটি এবার নেই ঢাকায়।
এমনকি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রের সামনেও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ও নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়া ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
যানজট ও ভিড় থেকে মুক্তি পেয়ে তেজগাঁও ও বিজয়সরণির সংযোগকারী ব্যস্ততম তেজগাঁও সড়কের নির্জন রাস্তায় শিশুদের ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে।
কয়েকটি মেয়েকে দলবেঁধে রাস্তায় খেলতে দেখা যায়। অনেকে ফুটবল খেলে। এসময় রাস্তায় খুবই কম যানবাহন ছিল।
শাহবাগে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর দুএকটি পাবলিক বাস দেখতে পাওয়া যায়।। সেখানে খুব কম সংখ্যক যাত্রী ছিলেন।
মহাখালীতেও একই অবস্থা দেখা যায়। আজ দূরপাল্লার কোনো বাস শহর ছেড়ে যায়নি।
শহরের রাস্তায় রিকশা, কিছু সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং কয়েকটি প্রাইভেট কারের আধিপত্য ছিল।
সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল দৃশ্যমান। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে তাদের ঢাকার সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।
শপিংমল, মার্কেট ও প্রধান সড়কের পাশের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু মুদি দোকান খোলা রয়েছে।
বাংলামোটরের রিকশাচালক সুমন মিয়া জানান, নির্বাচনের সময় বাড়তি কিছু টাকা কামানোর আশায় তিনি নিজ শহরে ফিরে যাননি। 'আমি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র তিনটি ট্রিপ পেয়েছি,' বলেন তিনি।
দুপুরে তেজগাঁওয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক সোলায়মানের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, গত তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে অপেক্ষা করেও একজন যাত্রীর সন্ধান পাননি।
Comments