নির্বাচনে থাকছে ১২৭ বিদেশি পর্যবেক্ষক

১২৭ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক চলে এসেছেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ
নির্বাচন কমিশনের লোগো | সংগৃহীত

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন মোট ১২৭ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের অনুমোদন দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন দিয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, ১২৭ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক চলে এসেছেন।

এ ছাড়া, ৭৩ জন বিদেশি সাংবাদিক নির্বাচন কভার করার জন্য অনুমোদন পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে ১৭ জন ঢাকায় পৌঁছেছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চার জন, কমনওয়েলথ থেকে ১৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) থেকে ১২ জন, ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন থেকে ১০ জন, জাপান থেকে ১৬ জন, আফ্রিকান ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্স থেকে ১০ জনসহ অন্যরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন।

এ ছাড়া, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) পক্ষ থেকে দুজন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক—একজন ভারতীয় ও একজন মার্কিন নাগরিক—নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

গত নির্বাচনে কিছু অনভিজ্ঞ বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয় ইএমএফ এবং সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন।

২০১৮ সালে কমনওয়েলথ, ওআইসি ও ফিলিপাইনভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ান ইলেকশন অথরিটিসের ৩৮ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন ৬২ জন বিদেশি এবং ৬৯ জন বাংলাদেশি।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন অন্তত ১৬৯ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক। এর আগে ২০০৮ সালে ৫৯৩ এবং ২০০১ সালে ২২৫ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।

প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুসন্ধান মিশন ৬ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও এনডিআইয়ের মার্কিন যৌথ মিশন ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করে।

এনডিআই ও আইআরআইয়ের পাঁচজন বিশ্লেষকের সমন্বয়ে একটি দল ইতোমধ্যে ঢাকায় রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago