সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের নৌকার প্রার্থীর
নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ফেরার পথে এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি হুমকি দেন দৈনিক সমকালের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি বদিউল আশরাফ ওরফে মুরাদ মৃধাকে।
হুমকি দেওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে সংসদ সদস্য নিজে ওই সাংবাদিকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার কাছ থেকে মুঠোফোন নিয়ে হুমকির সময় করা ভিডিও নিজ হাতে ডিলিট করে দেন।
এমপি না হই, দেখা হবে আপনার সাথে, ঠিক আছে। আপনি কত বড় কী, আমি দেখ নিবো।
তবে, এর আগেই দ্য ডেইলি স্টার ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে হুমকির ভিডিও সংগ্রহ করে।
সাংবাদিক মুরাদ মৃধা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে।
মুরাদ মৃধা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আজ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নাসিরনগর উপজেলা সদরের শহীদ মিনারের সামনের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ার সময় আমি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলাম।'
তিনি বলেন, 'ভিডিও ধারণের সময় আমার কাছে এসে গাড়ি থামান ফরহাদ হোসেন। এ সময় গাড়ির সামনের আসনে বসে তিনি আমাকে বলেন, "ইয়ে, সাংবাদিক ভাই, আপনে আর আমার ছবি তুইলেন না। আপনার তো অনেক উপকার করছি, এই জন্য থ্যাঙ্ক ইউ। এমপি না হই, দেখা হবে আপনার সাথে, ঠিক আছে। আপনি কত বড় কী, আমি দেখ নিবো।'
মুরাদ মৃধা বলেন, 'দলীয় বহু নেতাকর্মী নিয়ে এমপি আমার দোকানে এসে আমাকে বলেন যে আমি যেন না ঘাবড়াই, কিছু যেন মনে না রাখি। পরে তিনি আমার মোবাইলের ভিডিও ডিলিট করে দেন।'
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুরাদ তো আমার ছোট ভাই। আপনি ভিডিওটা দেখেন। দেখেই সিদ্ধান্ত নেন তার সঙ্গে আমার কী হয়েছে।'
মুরাদ জানান, 'এজাহারভুক্ত আসামিরা আ. লীগ প্রার্থীর প্রচারে', 'স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হত্যার হুমকি, আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন।
Comments