পোষা বিড়াল দৌড়ে পাশের ফ্ল্যাটে, রড দিয়ে পেটালেন প্রতিবেশী

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটে পাঁচ মাস বয়সী একটি বিড়ালকে লোহার রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।

বিড়ালটির মালিক জানিয়েছেন, তিনি ওই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকেন।

তার অভিযোগ, তার প্রতিবেশী—গ্রামীণফোন ও এরিস্টোফার্মার কর্মকর্তা তাদের গৃহকর্মীকে বিড়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে বলেছিলেন।

পোষা বিড়ালটির মালিকের একটি পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি লিখেছেন, রোববার দুপুরে বিড়ালটি তার বাসা থেকে বেরিয়ে অজান্তে প্রতিবেশীর অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরেই তিনি বিড়ালের করুণ আর্তনাদ শুনতে পান।

তিনি উপরের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখতে পান, তাদের গৃহকর্মী একটি সাদা বিড়ালকে পেটাচ্ছেন। তিনি থামানোর পরই বুঝতে পারেন, বিড়ালটি তার।

'সে তার শরীর নাড়াতে পারছিল না, তার নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়ছিল।'

পোস্টটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, এটি এ ধরনের প্রথম ঘটনা নয়। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'প্রায় ছয় মাস আগে, এই একই লোকেরা আমার আরেকটি বিড়ালকে আটতলা থেকে ফেলে দিয়েছিল...নয় মাস একটানা চিকিৎসা করানোর পরও আমি তাকে বাঁচাতে পারিনি।'

এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে গ্রামীণফোন ও এস্টোফার্মা লিমিটেডের কাছে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা দাবি করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'গ্রামীণফোন সকল প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মানুষ ও প্রাণীর সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। সম্প্রতি একটি পোষা প্রাণী ও আমাদের এক কর্মীকে ঘিরে একটি ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। আমরা যেকোনো প্রাণীর প্রতি বিরূপ আচরণের কঠোর নিন্দা জানাই। ঘটনাটি আমরা দ্রুত পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কাজ করছি।'

পরবর্তীতে এরিস্টোফার্মা এক বিবৃতিতে জানায়, 'এরিস্টোফার্মা সব সময় সর্বোচ্চ নৈতিকতা বজায় রাখে এবং সকল জীবের মানবিক আচরণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে একটি পোষা প্রাণী আহত করার বিষয় নিয়ে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি এবং আমরা বিশ্বাস করি যেকোনো প্রাণীর প্রতি অসহনশীল আচরণ নিন্দনীয়। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি এবং যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয় জ্ঞাপন করছি।'

বিড়ালটির মালিক গত রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন যে, তিনি প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯ এর অধীনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে, পরবর্তীতে ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে বিড়ালটির মালিক বা অভিযুক্ত—কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments