কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ, কলাবাগান থানার ওসি-এসআই প্রত্যাহার

কলাবাগান থানা। ছবি: সংগৃহীত

কোটি টাকা চাঁদা দাবি, বাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানার ওসি ও এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পরিচালক তারিক লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে কলাবাগান থানার দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।'

প্রত্যাহার পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন-কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান ও উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন।

এর আগে গত ২ মে কলাবাগান থানার সোনারগাঁ রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ও ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাসায় জোর করে ঢুকে পড়ে। 

ভুক্তভোগীর ম্যানেজার ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলেও কলাবাগান থানার ওসি মোক্তার হোসেন তাদের চলে যেতে বলেন।

পরে এসআই বেলালের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে এবং মান্নান নামের এক পুলিশ সদস্য তার কাছে এক কোটি টাকা দাবি করেন।

তারা আরও বলেন যে, টাকা না দিলে ১০টি মামলা করা হবে। কোনো উপায় না দেখে ভুক্তভোগী ওয়াদুদ ২ লাখ টাকা দেন পুলিশ সদস্য বেলাল ও মান্নানকে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে পুলিশ ৩ জনকে সেখানে রেখে যায়, যারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। যাওয়ার সময় এসআই বেলাল বাড়িতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি উল্লেখ করে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ভিডিও করে। 
পুলিশ তার বাসার কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার এ অভিযান কলাবাগান থানার ওসি মোক্তার হোসেন দেখভাল করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 

যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াদুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ওসি মোক্তার ও এসআই বেলালকে প্রত্যাহার করায় খুশি হয়েছি। আমার অনুরোধ থাকবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে পুলিশ সদস্যসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

2h ago