জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাসের রায় আপিল বিভাগে বহাল

খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দেন।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আজকের আদেশের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া 'জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট' এবং 'জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট' দুর্নীতি মামলায় সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মকসুদ উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আপিল বিভাগের এই আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়া উভয় মামলায় খালাস পেলেন।'

শুনানিতে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।

দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আশিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। এর আগে, এই মামলায় ঢাকার নিম্ন আদালত তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

হাইকোর্ট একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামিকেও খালাস দেন এবং নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করেন।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার একটি বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

দুদক ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে। অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া ও অপর তিনজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অজ্ঞাত উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আপিল বিভাগের কাছে পৃথকভাবে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) আবেদন জমা দেয়।

আবেদনে তারা হাইকোর্টের রায় স্থগিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানায় এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য সময় প্রার্থনা করে। আজ এই আবেদনের শুনানি হয়।

Comments

The Daily Star  | English

IMF reaches agreement on $1.3 billion credit facility for Bangladesh

The global lender reaches agreement on third, fourth reviews of credit facility for the country

54m ago