ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মারধরের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা

আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

মারধরের ভিডিও ধারণ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বিএনপি নেতার নির্দেশে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

নাসিরনগর উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দৈনিক কালবেলা ও এনটিভি অনলাইনের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে সাংবাদিকের ওপর হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতরাতে শহীদ মিনারে স্থানীয় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যায়। এসময় নাগরিক কমিটির ব্যানারে কয়েকজন পুষ্পস্তবক নিয়ে গেলে তাদের একজনকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী আখ্যা দিয়ে মারধর করে যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী।'

'আমি মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন এবং তার ভাতিজা কেএম মারজান ও কেএম নাসিরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ১০-১২ জন আমাকে মারধর শুরু করে। তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। এতে আমার মুখ, মাথা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়,' বলেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে আমি শহীদ মিনারের বেদীতে ছিলাম, আর ঘটনা ঘটেছে বাইরে। এ বিষয়ে বশিরই ভালো বলতে পারবে।'

ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, 'প্রথমে যাকে মারধর করা হয় তাকে পুলিশ সদস্যরা হেফাজতে নেওয়ার সময় সাংবাদিক মাহমুদকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ 

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এসময় যুবদলের দুই কর্মী ধারালো খুরের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।'

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিধাবিভক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির একটি পক্ষের বিজয়নগরস্থ নেতাকর্মীরা জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেনকে উপজেলা শাখা বিএনপির অভিভাবক হিসেবে অনুসরণ করেন। আরেকটি পক্ষের নেতাকর্মীরা মহসিন ভূঁইয়া ও শাহআলম মিয়ার অনুসারী। দিবসের প্রথম প্রহরে বিএনপির বিবাদমান দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক নিয়ে মিনারের বেদীতে এগিয়ে যান। এসময় আগে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে যুবদল কর্মী বেলাল ও জীবনের পিঠে ক্ষুর দিয়ে আঘার করা হয়।

ওসি রওশন আলী বলেন, 'এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

5h ago