নোয়াখালীতে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নিহত মো. আব্দুর রহমান হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত মো. আব্দুর রহমান হৃদয় (২৪) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। তিনি পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রি।

গতকাল দিবাগত পৌনে ১২টার দিকে চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

নিহতের ছোট ভাই মো. রিফাত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কিছুদিন আগে আমার বড় ভাই হৃদয়ের বন্ধু আশিকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেন পৌরসভার গোলাবাড়ি এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু। এরপর টাকা ফেরত চাইলে বাবু টালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আশিক বিষয়টি বাবুর বড় ভাই রনিকে জানায়। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে গতরাতে আশিকের বন্ধু হোসেন ও সাগরকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। রাত সোয়া ১১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারে আমার ভাই হৃদয়। খবর পেয়ে তিনি সমবয়সী কাকা রাসেলকে নিয়ে হোসেন ও সাগরকে উদ্ধার করতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে পৌর ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছলে বাবুর সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবু হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে। একই সময়ে রাসেলকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।'

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টাকা লেনদেন নিয়ে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।'

আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, 'মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। রাসেল নামে আরেক যুবক অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Chattogram port Imports

Reducing penalty on false declarations will encourage smuggling: experts

In the Finance Ordinance 2025–26, presented on Monday, the government proposed amending the Customs Act 2023 and revising the penalty structure for tax evasion related to intentional false declarations during import clearance, reducing the minimum fine from twice the evaded amount to an equivale

1h ago