‘স্ট্যাটিসটিক্যালি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি, তবে অনেক ঘটনা ঘটছে’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি না হলেও অনেক ঘটনা যে ঘটছে এবং সেনাবাহিনী তা নজরদারিতে রেখেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী কাজ করছে।
ইন্তেখাব বলেন, 'গত ২৯ নভেম্বর থেকে চার সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৮টি অবৈধ অস্ত্র ও ৪২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল, বিশেষত গাজীপুর-আশুলিয়া ও সাভার এলাকায় ৬৭টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং ১৩ বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।'
তিনি বলেন, 'শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনা সদস্যরা গত এক মাসে ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ঘটনা ছিল পাঁচটি, সরকারি সংস্থা ও অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল সাতটি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ছিল ৩০টি।'
'গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট এক হাজার ৪০৫ জন ব্যক্তিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,' বলেন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব বলেন, 'সচিবালয়ের আগুনের ঘটনা মাত্র ঘটেছে, এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আমরা এখনো পাইনি। বিভিন্ন কেপিআইয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের দায়িত্বভুক্ত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং কেপিআইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি ঘটনা পর্যালোচনা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। তদন্ত হলে আমরা বলতে পারব অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কারণটা কী ছিল—অ্যাক্সিডেন্ট নাকি কেউ করেছে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্ট্যাটিসটিক্যালি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তবে অনেক ঘটনা ঘটছে এবং এটা আমাদের নজরদারিতেও আছে। এটার ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে, আমরাও কাজ করছি।'
'সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারবো কি না জানি না, তবে এটাকে একটা সহনশীল মাত্রায় রাখা—মাত্রা যাতে না বেড়ে যায়, সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে,' যোগ করেন তিনি।
Comments