বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ৩ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে, পুলিশের মাদক মামলা

গ্রেপ্তার তিন আসামি মুবিন আল মামুন, মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী মোহতাসিম মাসুদ নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নূর মোহসীনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গত শুক্রবার বিকেলে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

আজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক কাইউম খান।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, মুবিন আল মামুন (২০), মিরাজুল করিম (২২) ও আসিফ চৌধুরী (১৯)।

তাদের বিরুদ্ধে গতরাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহেদী হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বহনের অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে, শুক্রবার ডোপ টেস্টের পর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান জানান, মুবিনের শরীরে অ্যালকোহল ও গাঁজা, মিরাজুলের শরীরে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে আসিফ চৌধুরীর শরীরে মাদকজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি।

মাদক মামলায় পুলিশ বলেছে, ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে একটি বিদেশি মদের খালি বোতল ও এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গেছে।

নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে শুক্রবার রূপগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা মাসুদ মিয়া।

গত শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে পূর্বাচল উপশহরের নীলা মার্কেটের সামনে ৩০০ ফুট সড়কে (কুড়িল-কাঞ্চন) পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে দাঁড়ানো অবস্থায় মোটরসাইকেলটিকে প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহতাসিম মাসুদ।

এতে গুরুতর আহত হন তার দুই সহপাঠী মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago