মাদ্রাসায় ডাকাতির অভিযোগ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে, আটক আরও ৩

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ডাকাতির অভিযোগে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকার বাসিন্দারা। তাদের মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য আছেন।

আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের বন্দর বিভাগের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক চারজন হলেন—সুহেল আনোয়ার (৪০), বিদ্যুৎ দেব (৩৫), মো. শফিকুল ইসলাম (৪৮) ও সুমন কান্তি দে (৪০)।

একাধিক সূত্র ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছে, সুহেল আনোয়ার (ব্যক্তিগত নং: ৪৫০২৬২২) সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট। তিনি চট্টগ্রামে সেনানিবাসে আর্মি সিকিউরিটি ইউনিটে কর্মরত।

শাকিলা বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সুহেলকে তাদের ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।'

সূত্র আরও জানিয়েছে, বিদ্যুৎ নিজেকে সকালের সময় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং সুমন পেশায় গাড়িচালক। শফিকুল নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দেন। তবে ডেইলি স্টার তার পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, গত রাতে খোয়াজনগর এলাকার বাসিন্দারা চারজনকে আটক করে। পরবর্তীতে টহলরত আর্মি ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে আট থেকে ১০ জন এসে যৌথ বাহিনীর গোয়েন্দা পরিচয়ে আলত্বাফিয়া ইয়াছিনিয়া আল এজাজ ইন্টারন্যাশাল ও এতিমখানায় প্রবেশ করেন এবং তল্লাশি চালান। তারা মাদ্রাসায় থাকা নগদ তিন লাখ দিরহাম ও ছয় হাজার রিয়ালসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আরও কেউ জড়িত আছে কি না পুলিশ খতিয়ে দেখছে।'

এর আগে ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকার তালসরা দরবার শরিফ থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছিল র‍্যাবের বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনায় দরবার শরিফের গাড়িচালক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাদী হয়ে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Indian Media Reporting on Bangladesh: Fake or Fact?"

Why is the Indian media's coverage of Bangladesh markedly different from that of Bangladeshi news outlets?

6h ago