ভাটারা থানার সামনে পুলিশের অস্ত্র হাতে যুবদল নেতার ছবি

গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা থানার সামনে ছবিটি তোলা হয়। ছবিটি যখন তোলা হয় তখন পেছনে থাকা ভাটারা থানায় আগুন জ্বলছিল।
রাজধানীর ভাটারা থানায় সামনে পুলিশের অস্ত্র হাতে সেলফি তোলেন তাহসিন জামান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের অস্ত্র হাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান ওরফে রোমেলের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা থানার সামনে ছবিটি তোলা হয়। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সেদিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ছবিটি যখন তোলা হয় তখন পেছনে থাকা ভাটারা থানায় আগুন জ্বলছিল।

তবে যুবদল নেতা রোমেলের দাবি, ভাটারা থানায় অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। ৫ আগস্ট দুপুর সোয়া ১টার দিকে থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভিডিও ধারণ করার সময় পুলিশের কয়েকটি অস্ত্র রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকেই তিনি একটি অস্ত্র হাতে নেন। তিনি তখন অন্যান্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অস্ত্রগুলো জমা দেন।

অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা তিনি লিখিতভাবে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার এবং দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন দুলাল বলেন, রোমেলের অস্ত্র লুটের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

অন্যদিকে রোমেলের ভাষ্য, রুহুল আমিন দুলালের সঙ্গে তার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকায় তিনি অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, যুবদল নেতা রোমেলের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ বিষয়টি খোঁজ নেয়। পরবর্তীতে রোমেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান যে, তিনি অস্ত্রটি সেনাবাহিনীর কাছে ফেরত দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা অস্ত্র ফেরত দেওয়ার সতত্য যাচাই করতে পারিনি কিংবা এর কোনো প্রমাণও পাইনি।'

বিষয়টি দেখার জন্য তিনি মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে সাখাওয়াত হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

11h ago