শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীসহ চিকিৎসক আটক

শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসক আটক
ছবি: স্টার

ঢাকার সাভারে চুরির অভিযোগ এনে এক শিশু গৃহকর্মীকে (১১) ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এক চিকিৎসক ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন বরগুনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী মো. ইসমাইল হোসেন (৩১) ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন পরশমনি (২৬)।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফি এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুকে নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে। শিশুটির মা পোশাক শ্রমিক কুলসুম বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে।

সাভার সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী শিশু বলে, 'আমি ওই বাসায় প্রায় ১ বছর ধরে কাজ করছিলাম। ওই বাসায় যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন আমাকে আদর করেছে। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই আমাকে মারধর করতে থাকে। সবশেষ আমাকে চুরির দোষ দিয়ে ছোট সরু ছুরি দিয়ে সারা শরীরে খুঁচিয়েছে। এ ছাড়া ব্যাট দিয়ে পায়ে ও মাথায় মেরেছে।'

শিশুর মা কুলসুম বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লেখাপড়া করাবেন ও ভালোভাবে মানুষ করবেন বলে আমার মেয়েকে এক বছর আগে বাসায় কাজ করাতে নিয়ে যান তারা। তারা আমার মেয়েকে বরগুনা ও সাভারের বাসায় রাখতেন। গত পরশু সকালে আমাকে চিকিৎসকের স্ত্রী পরশমনি তার বাসায় ডেকে নেন। যাওয়ার পর তিনি জানান, আমার মেয়ে চেইন ও টাকা চুরি করেছে।'

'পরে আমার মেয়েকে আমার কাছে দিয়ে দেন তারা। মেয়েকে বাসায় রেখে আমি কাজে যাই। কাজ থেকে ফিরলে আমার মেয়ে আমাকে নির্যাতনের কথা জানায়। পরে মেয়ের শরীরে অমানবিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই এবং হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি মেয়েকে নির্যাতনের বিচার চাই', যোগ করেন তিনি।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল বলেন, 'শিশুটির শরীরে নতুন ও পুরাতন ভোতা এবং ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।'

Comments