আ. লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার রায়ে চার জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হালিম উল্লাহ চৌধুরী চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অশোক কুমার দাস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, মোকাররম হোসেন সোহেল ও ইসমত আলী।
এছাড়া সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, ইদ্রিস আলী, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ, শরীফ ও মিজানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠনের জেরে খুন হন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদ্য সাবেক সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদের স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা একেএম ইকবাল আজাদ।
পাবলিক প্রসিকিউটর অশোক কুমার দাস জানান, মামলার বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দলীয় বিরোধের জেরে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম ইকবাল আজাদ।
এ ঘটনায় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই একেএম জাহাঙ্গীর আজাদ।
পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আঁখিতারা গ্রামের মো. সাদেক মিয়াসহ আরও ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট জমা দেয় পুলিশ।
এর মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো. সাদেক মিয়া মারা গেছেন।
Comments