চুরির অভিযোগ তুলে শিশুকে মারধর, গ্রেপ্তার ১

মারধরের ঘটনায় শিশুর বাবা একটি মামলা করেছেন।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে এক শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

মারধরের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার ওই শিশুর বাবা মামলা করার পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার শ্রীনগর উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের পশ্চিম দেউলভোগ এলাকায় এ শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইয়াছিন আরাফাত (২৪) একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা দেউলভোগ এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। সোমবার সকালে ইয়াছিন আরাফাত, তার স্ত্রী রাণী জামানসহ স্থানীয় শাহাদাৎ, রিয়াদ, শিহাব ও অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন শিশুটিকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বাসার সামনে থেকে মারতে মারিতে ইয়াছিনের বাড়িতে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে শিশুর বাবা-মা ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে ইয়াছিন আরাফাতসহ অন্যান্যরা তাদের সামনেই শিশুটিকে নগ্ন করে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

শিশুর বাবা সাগর হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মোবাইল ফোন উদ্ধারের নামে প্লায়ার্স দিয়ে আমার ছেলের দুই হাতের আঙুলে আঘাত করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের অনুরোধেও তারা ছেলেকে ছাড়েনি। পরে স্থানীয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি সেখানে আমার ছেলে নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে দেউলভোগ সবুজহাটি এলাকায় ছেলেকে গুরুতর আহতাবস্থায় পাই।'

পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করে।

জানতে চাইলে ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, 'শিশুর বাবা বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments